ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণার মদনে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হলেও পুলিশের কাছ থেকে পালিয়েছে আসামি

 নেত্রকোনার মদনে পাচারকালে টিসিবির ২৫ বস্তা চালসহ ৩ ব্যাক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের কাইটাইল বাজার সংলগ্ন ওয়াহেদ ইটভাটার কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, টিসিবির ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন, গাড়ি চালক আলম মিয়া ও মাহফুজ। তারা তিনজন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।

 

আটকের পর অভিযুক্তদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করে সেনাবাহিনী। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে থানায় নেওয়ার পথে টিসিবির ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পালিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় ডিলার। বিক্রি হওয়া ২৫ বস্তা চাল নেওয়ার সময় কাইটাইল বাজারের পাশে ওয়াহেদ ইটভাটায় জনতা আটক করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে আটক করে।

 

টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জব্দ হওয়া চাল ও ৩ জনকে মদন থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এদিকে থানায় আসা পথে ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন মদন থানার এসআই সাইদুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাল কারসাজির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকে। যার কারণে কালবাজারি চক্রগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনী আটক করা অভিযুক্ত ব্যাক্তি কি আসলেই পালিয়ে গেছে নাকি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।

 

এ দিকে ওই ঘটনায় আটককৃতদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেম নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, ‘ আমাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বলছে মামলায় স্বাক্ষর দিতে। তাই আমি শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি। ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের আমি চিনি না।’ এ ব্যাপারে এস আই সাইদুল ইসালম জানান, ‘ আটককৃদের নিয়ে আসার পথে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন নামের একজন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের হাতে হাতকড়া ছিল কি না? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেন নি।

 

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, ‘ সরকারি চালসহ লোকজন আটক হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী জব্দ করা চাউল এবং ৩ ব্যাক্তিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। থানায় আসার পথে শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার মালার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

নেত্রকোণার মদনে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হলেও পুলিশের কাছ থেকে পালিয়েছে আসামি

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 নেত্রকোনার মদনে পাচারকালে টিসিবির ২৫ বস্তা চালসহ ৩ ব্যাক্তিকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের কাইটাইল বাজার সংলগ্ন ওয়াহেদ ইটভাটার কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, টিসিবির ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন, গাড়ি চালক আলম মিয়া ও মাহফুজ। তারা তিনজন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা।

 

আটকের পর অভিযুক্তদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করে সেনাবাহিনী। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে থানায় নেওয়ার পথে টিসিবির ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পালিয়ে গেছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় ডিলার। বিক্রি হওয়া ২৫ বস্তা চাল নেওয়ার সময় কাইটাইল বাজারের পাশে ওয়াহেদ ইটভাটায় জনতা আটক করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে আটক করে।

 

টিসিবির চাল কালোবাজারে বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে জব্দ হওয়া চাল ও ৩ জনকে মদন থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এদিকে থানায় আসা পথে ডিলার পরিচালনাকারী শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন মদন থানার এসআই সাইদুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাল কারসাজির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকে। যার কারণে কালবাজারি চক্রগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনী আটক করা অভিযুক্ত ব্যাক্তি কি আসলেই পালিয়ে গেছে নাকি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলেছে অনেকেই।

 

এ দিকে ওই ঘটনায় আটককৃতদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেম নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) কৃষ্ণ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, ‘ আমাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বলছে মামলায় স্বাক্ষর দিতে। তাই আমি শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি। ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের আমি চিনি না।’ এ ব্যাপারে এস আই সাইদুল ইসালম জানান, ‘ আটককৃদের নিয়ে আসার পথে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন নামের একজন পালিয়ে যায়। আটককৃতদের হাতে হাতকড়া ছিল কি না? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেন নি।

 

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, ‘ সরকারি চালসহ লোকজন আটক হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেনাবাহিনী জব্দ করা চাউল এবং ৩ ব্যাক্তিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। থানায় আসার পথে শামছুল হক চ্যাম্পিয়ন পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনার মালার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’