ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লার বরুড়ায় প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগে

ছবি কুমিল্লা শহড়ের উল্লেখযোগ্য স্থান

কুমিল্লার বরুড়ায় প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিষয়টি আমলে নিয়ে কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা করা হয়নি।

গত ১৫ জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চ. দা.) আবু সালেহ মো. হানিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে অত্র দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। ৫ কর্মদিবসের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল রোববার (২২ জুন)। তবে সেই দিনও প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘটকপুর খলিল চেয়ারম্যান বাড়ির পাশের খালে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের জন্য এডিপি খাত থেকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্পের কাজ এলজিইডির আওতায় আগেই সম্পন্ন হয়েছিল, রাস্তা পাকাকরণ পাশাপাশি খালের পাশে ৩০০ মিটার প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ ব্যয় ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। কাজটি শেষ হয় ২০২২ সালের ৭ জুলাই এবং দায়িত্বে ছিলেন ঠিকাদার খলিলুর রহমান।

একই প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করে শাহজাহান টেকনো বিল্ডার্সকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকায় কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক রোবায়েত আহমেদ উৎস এবং উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আ. মান্নান মিলে পূর্বে সম্পন্ন হওয়া এলজিইডি প্রকল্পকেই এডিপির প্রকল্প হিসেবে দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেন।

বিজ্ঞাপনঃ
প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের বিষয়ে রোবায়েত আহমেদ উৎস বলেন, আমার হাতে অনেক কাজ, ফাইল দেখে বলব।

বিজ্ঞাপনঃ

বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, চিঠি ইস্যু হয়েছে ১৫ জুন (রোববার) এবং আমি ২১ জুন (শনিবার) চিঠি পেয়েছি। আমাদের জুন ক্লোজিংয়ের কারণে আমি বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে কিংবা ফাইল দেখতে পারিনি। অল্প সময়ের মধ্যে ফাইল দেখে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেব।

কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি পাঠিয়েছি। আসলে আমাদের জুন ক্লোজিং চলছে। কাজের ব্যস্ততার জন্য প্রতিবেদন জমা দিতে সময় লাগছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

কুমিল্লার বরুড়ায় প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগে

প্রকাশের সময় : ১১:৫৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ছবি কুমিল্লা শহড়ের উল্লেখযোগ্য স্থান

কুমিল্লার বরুড়ায় প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিষয়টি আমলে নিয়ে কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা করা হয়নি।

গত ১৫ জুন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চ. দা.) আবু সালেহ মো. হানিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে অত্র দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। ৫ কর্মদিবসের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল রোববার (২২ জুন)। তবে সেই দিনও প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘটকপুর খলিল চেয়ারম্যান বাড়ির পাশের খালে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের জন্য এডিপি খাত থেকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্পের কাজ এলজিইডির আওতায় আগেই সম্পন্ন হয়েছিল, রাস্তা পাকাকরণ পাশাপাশি খালের পাশে ৩০০ মিটার প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ ব্যয় ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। কাজটি শেষ হয় ২০২২ সালের ৭ জুলাই এবং দায়িত্বে ছিলেন ঠিকাদার খলিলুর রহমান।

একই প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করে শাহজাহান টেকনো বিল্ডার্সকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকায় কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক রোবায়েত আহমেদ উৎস এবং উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আ. মান্নান মিলে পূর্বে সম্পন্ন হওয়া এলজিইডি প্রকল্পকেই এডিপির প্রকল্প হিসেবে দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেন।

বিজ্ঞাপনঃ
প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের বিষয়ে রোবায়েত আহমেদ উৎস বলেন, আমার হাতে অনেক কাজ, ফাইল দেখে বলব।

বিজ্ঞাপনঃ

বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, চিঠি ইস্যু হয়েছে ১৫ জুন (রোববার) এবং আমি ২১ জুন (শনিবার) চিঠি পেয়েছি। আমাদের জুন ক্লোজিংয়ের কারণে আমি বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে কিংবা ফাইল দেখতে পারিনি। অল্প সময়ের মধ্যে ফাইল দেখে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেব।

কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি পাঠিয়েছি। আসলে আমাদের জুন ক্লোজিং চলছে। কাজের ব্যস্ততার জন্য প্রতিবেদন জমা দিতে সময় লাগছে।