ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথীবির সবচেয়ে ক্ষুধার্ত জায়গা এখন গাজা

গাজা উপত্যকা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্যসংকটপূর্ণ ও ক্ষুধার্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৩০ মে) জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজার জনগণ এখন অনাহারের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এবং অবিলম্বে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে।

ওসিএইচএ-র মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেন, ইসরায়েল এখনও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি অনুমোদিত ৯০০টি সাহায্যবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৬০০টি গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে।তিনি বলেন, আমরা যা নিয়ে যেতে পেরেছি, তা কেবল ময়দা। এটি রান্না না করলে খাওয়ার উপযোগী নয়, অথচ গাজার শতভাগ জনগণ এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে গাজায় নতুন করে ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানান তিনি। সহায়তা প্রবেশে জটিলতা ও নিরাপত্তাজনিত বাধার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জর্ডানের আম্মানে সংস্থাটির গুদামে গাজার জন্য এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা ও মানবিক উপকরণ মজুদ রয়েছে। এসব ত্রাণ একবারে ২ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সীমান্ত খুলে না দিলে তা পৌঁছানো সম্ভব নয়।

ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, গাজার মানুষ এখন জরুরি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে এবং এ সহায়তা প্রবেশে কোনো ধরনের বাধা বা দেরি হলে তা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

এর আগে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা যৌথভাবে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সতর্ক করে জানায়, গাজায় চরম খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্চের ২ তারিখ থেকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে গাজায় অনাহার, অপুষ্টি ও মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহভাবে বেড়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

পৃথীবির সবচেয়ে ক্ষুধার্ত জায়গা এখন গাজা

প্রকাশের সময় : ১২:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

গাজা উপত্যকা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে খাদ্যসংকটপূর্ণ ও ক্ষুধার্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (৩০ মে) জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজার জনগণ এখন অনাহারের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে এবং অবিলম্বে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে।

ওসিএইচএ-র মুখপাত্র জেন্স লারকে বলেন, ইসরায়েল এখনও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি অনুমোদিত ৯০০টি সাহায্যবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র ৬০০টি গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে।তিনি বলেন, আমরা যা নিয়ে যেতে পেরেছি, তা কেবল ময়দা। এটি রান্না না করলে খাওয়ার উপযোগী নয়, অথচ গাজার শতভাগ জনগণ এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

গত দুই সপ্তাহে গাজায় নতুন করে ২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানান তিনি। সহায়তা প্রবেশে জটিলতা ও নিরাপত্তাজনিত বাধার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, জর্ডানের আম্মানে সংস্থাটির গুদামে গাজার জন্য এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা ও মানবিক উপকরণ মজুদ রয়েছে। এসব ত্রাণ একবারে ২ লাখ মানুষের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সীমান্ত খুলে না দিলে তা পৌঁছানো সম্ভব নয়।

ইউএনআরডব্লিউএ জোর দিয়ে বলেছে, গাজার মানুষ এখন জরুরি সহায়তার অপেক্ষায় রয়েছে এবং এ সহায়তা প্রবেশে কোনো ধরনের বাধা বা দেরি হলে তা মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

এর আগে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা যৌথভাবে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সতর্ক করে জানায়, গাজায় চরম খাদ্য সংকট এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্চের ২ তারিখ থেকে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে গাজায় অনাহার, অপুষ্টি ও মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহভাবে বেড়েছে।