ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পটুয়াখালীতে দাদি ও সৎ মাকে জবাই করে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

 পটুয়াখালী, তাং-১৩/০৬/২৯২৫ পটুয়াখালীতে দাদি কুলসুম বিবি (১০৫) ও সৎ মা সহিদা বেগম (৫০) কে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে মো. আল আমিন (২৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।

শুক্রবার দুপুর একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই পলাতক রয়েছে যুবক আল আমীন। ওই গ্রামের আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে ঘাতক আল আমীন।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যায় এবং হত্যাকান্ডের কারণ অনুসন্ধান করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে আল আমিন তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে ৩ থেকে ৪ দিন আগে খুজে পাওয়ার পর বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। শুক্রবার রাতে পাবনা পাঠানোর জন্য বাসের টিকেটও কাটা হয়।

এদিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য দুপুরে তার বড় ভাই পরিচয় পত্র আনার জন্য সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের কাছে যায়। আর তার পিতা রাজ্জাক খান কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে যায়। এ সুযোগে আল আমিন তার সৎ মা ও দাদিকে ঘরে একা পেয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ জানান, আল আমীন তার দাদী ও সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার কারণ চিহ্নিত করা হবে এবং আল আমীনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আল আমীন মানষিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানতে পেরেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ###

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Gojnobi biplob

Popular Post

মাহিন হত্যা মামলায় আরো এক আসামি গ্রেফতার হলো ফটিকছড়িতে

পটুয়াখালীতে দাদি ও সৎ মাকে জবাই করে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

 পটুয়াখালী, তাং-১৩/০৬/২৯২৫ পটুয়াখালীতে দাদি কুলসুম বিবি (১০৫) ও সৎ মা সহিদা বেগম (৫০) কে দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে মো. আল আমিন (২৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক।

শুক্রবার দুপুর একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই পলাতক রয়েছে যুবক আল আমীন। ওই গ্রামের আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে ঘাতক আল আমীন।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যায় এবং হত্যাকান্ডের কারণ অনুসন্ধান করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে আল আমিন তার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে ৩ থেকে ৪ দিন আগে খুজে পাওয়ার পর বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। শুক্রবার রাতে পাবনা পাঠানোর জন্য বাসের টিকেটও কাটা হয়।

এদিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য দুপুরে তার বড় ভাই পরিচয় পত্র আনার জন্য সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের কাছে যায়। আর তার পিতা রাজ্জাক খান কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে যায়। এ সুযোগে আল আমিন তার সৎ মা ও দাদিকে ঘরে একা পেয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ জানান, আল আমীন তার দাদী ও সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার কারণ চিহ্নিত করা হবে এবং আল আমীনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আল আমীন মানষিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে জানতে পেরেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ###