দেশজুড়ে এখন যেন তর্কের মৌসুম। প্রতিটি ইস্যুতে উত্তাপ, প্রতিটি ঘটনাকে ঘিরে মতামতের ঝড়—বিষয় ও তর্ক বাড়ছে, সাথে ছড়াচ্ছে গুজবও।
একদিকে সামরিক ক্যু-এর জল্পনাকল্পনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা। কেউ কেউ বলছেন ‘পরিবর্তন দরকার’, আবার কেউ বলছেন ‘গুজবের পালে হাওয়া দিও না’।
এদিকে টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত ঘিরে চলছে তর্ক-বিতর্ক—কেউ প্রশাসনিক সুবিধার কথা বলছেন, কেউ বা বলছেন এটি ঐতিহাসিক পরিচয়ের ওপর আঘাত।
এরই মধ্যে আরেক বিতর্ক—ধর্ম অবমাননার অভিযোগে শামীম আশরাফের প্রসঙ্গ না মিটতেই আলোচনায় উঠে এসেছেন আরেক শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক শামীম।
ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে তাঁর গাড়ি চলাচল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় বাস ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অন্যদিকে শিক্ষক নেতাদের গ্রেফতার নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে চাপা ক্ষোভ, জুলাই সনদ ও গণভোট ইস্যু নিয়ে তর্ক-বিতর্কে সরগরম রাজনীতি। আবার পিআর বিতর্ক যেন এক অবিরাম ধারাবাহিক নাটক।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই যাদুকাটা নদীর পাড়ে গাছ লুটপাট নিয়ে সরব হয়ে উঠেছেন পরিবেশকর্মীরা। তাঁরা বলছেন, প্রকৃতি নিঃশেষ হলে উন্নয়ন টিকবে না। এতসব বিষয় নিয়ে শখানেক বড় বড় প্রতিক্রিয়া লেখা যায়—লিখছেনও অনেকে। কেউ ক্ষুব্ধ, কেউ উত্তেজিত, কেউ আত্মরক্ষার মোডে।
কিন্তু আমি আপাতত দর্শক সারিতেই আছি। সমাজ যখন উত্তাল, তখন কখনও নীরবতাও এক ধরনের প্রতিক্রিয়া। দেখছি, শুনছি, ভাবছি—কোনটা সত্য, কোনটা গুজব, কোনটা মানুষের স্বার্থে, আর কোনটা বিভ্রান্তির জাল। হয়তো সময় এলেই কথা বলব, এখন শুধু দেখছি—আমরা কেমনভাবে প্রতিদিন বিতর্কে ভাসি, অথচ সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা