ছবি সংগৃহিত
স্লুইসগেটটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় চার কোটি টাকা। জোয়ারের পানি আটকাবে, ছয় গ্রামের চাষাবাদ হবে—এটিই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তবে এর কোনো সুফল এলাকাবাসী পাননি। এত টাকা ব্যয়ের পরও স্লুইসগেটটি পানির নিচে। জোয়ারের পানিতে এখনো তলিয়ে যায় ছয় গ্রামের প্রায় ৬০০ একর জমি।
দৃশ্যটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চাতরী ইউনিয়নের। ওই ইউনিয়নের বাকখাইন কান্দরিয়া খালের মুখে ২০১৮ সালে স্লুইসগেটটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্পটি শেষ হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
তবে জোয়ারের পানির ধাক্কায় এক বছরের মাথায় ২০২১ সালে গেটটির নিচ থেকে মাটি সরতে শুরু করে। একপর্যায়ে স্লুইসগেট প্রায় পানির নিচে চলে যায়। ফলে জোয়ারের পানিতে ছয় গ্রামের চাষাবাদ এখন বন্ধ। অনেক পুকুর ও ডোবাও নিয়মিত ভেসে যায়।
গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্লুইসগেটটির সামান্য অংশ পানির ওপর ভেসে রয়েছে। দূর থেকে স্লুইসগেট গেটের অস্তিত্বই টের পাওয়া মুশকিল। লোকজন চলাচল না করায় স্লুইসগেটের দুই পাশে খালের অংশ এখন ঝোপঝাড়।
তবে ওই এলাকায় নতুন করে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে শাহীদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্লুইসগেট নতুন করে নির্মাণের একটি প্রকল্পের কার্যাদেশ ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ কোটি টাকা। বৃষ্টি কমলে দ্রুত এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা