পাবনার সাঁথিয়ায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক মোছা. সাদিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়,সাঁথিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন পিআইও অফিসের ২০২৪/২৫ অর্থবছরের টি আর প্রকল্পের ২৭ লাখ ১১ হাজার ২৫৬ টাকার কাজ পৌরসভার ১২ টি প্রকল্পের নামে নিয়ে সর্বোচ্চ ৬/৭ লাখ টাকার কাজ করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করছে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক মোছা. সাদিয়া সুলতানা।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক মোছা. সাদিয়া সুলতানা সাঁথিয়ায় যোগদানের শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য,বহুবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার আচরণে ভুমি অফিস, পৌরসভা অফিসের স্টাফ এবং এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করেনা। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে ০৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের সামনে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গণস্বাক্ষর করে স্মারকলিপি জমা দেন। টিএলসিসির একজন সদস্য জানান, রমজান মাসে টাউন লেভেল কো অর্ডিনেশন কমিটি (টিএলসিসি) এর অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০/৯০ জন মানুষের অথচ ৫৫০ জনের খরচ দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক মোছা. সাদিয়া সুলতানা। এলাকাবাসী বলেন, এই এসিল্যান্ডের কাছে পৌরসভার নাগরিক সনদসহ যেকোন কাজে গেলেই ঘুষ লাগে , নামজারি করতে গেলে হয়রানী শিকার হতে হয়। টাকা ছাড়া নামজারি হয়না।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পুকুর সংস্কার ও খাল খননে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ না দিলে তিনি সংস্কার করতে দেন না।ভেকু গাড়ি, সিএনজি গাড়ি আটক করে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। খাসজমি বন্দোবস্ত, নিজস্ব দালাল চক্রের মাধ্যমে অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, হোল্ডিং অনুমোদন, নামজারি, সরকারি খাল-পুকুর খাস আদায় নামে প্রতারণা ও মামলার প্রতিবেদনের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন তিনি।
টাকা না দিলে কোন কাজই করেনা তিনি। দালালদের মাধ্যমে দেয়া হয় হুমকি-ধমকি। তবে ঘুষ নিয়েও কাজ না করে নানান অজুহাতে আড়ালে থেকেছেন তিনি। উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মোস্তফা জানান, এসিল্যান্ড সাদিয়া সুলতানাকে পুকুর পূন:খননের জন্য ১ লাখ টাকা নিজে হাতে দিয়েছি আমি।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক মোছা. সাদিয়া সুলতানা বলেন, কাজগুলো সব দেখেছি আমি, ভালো কাজ করেছে আমার মনে হয়েছে। আর কাজে সন্তুষ্ট হয়েছে বলেই বিল দিয়েছে পি আই ও অফিস থেকে, আপনি তাদেরকেও জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর টিএল সিসির ওইটাও দিয়েছি আমি, একটু পি এন ও এর সাথে কথা বলতে পারেন।##