ছবি সংগৃহিত
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির প্রধান সঞ্চালন লাইনের পাইপ ফেটে যাওয়ার ৩৯ ঘণ্টা পার হলেও মেরামত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে প্রায় দুই হাজার আবাসিক গ্রাহক ও অন্তত ১০টি কারখানার গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রান্না ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। ব্যাহত হচ্ছে শিল্পকারখানার উৎপাদন। কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নার্সিং স্কুল, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গণপূর্ত অধিদপ্তরের উদ্যোগে মির্জাপুর উপজেলা সদরের বাইমহাটী এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে পাইলিং করার সময় খননযন্ত্র সঞ্চালন লাইনে আঘাত করলে পাইপ ফেটে যায়। এ সময় বিকট শব্দে গ্যাস বেরোতে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। খবর পেয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তবে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত লাইন মেরামত সম্ভব হয়নি।
কুমুদিনী হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুমুদিনী কমপ্লেক্সে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বসবাস করেন। গ্যাসচালিত জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে রোগীদের অস্ত্রোপচারসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়। গ্যাস সংযোগ না থাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।’
তিতাসের গাজীপুর চন্দ্রা এলাকার ব্যবস্থাপক (সিস্টেম অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) কাউছারুল ইসলাম বলেন, ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে দ্রুত মেরামতের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে টাঙ্গাইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সম্ভু রাম পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই স্থানে গ্যাসলাইন আছে আমরা জানতাম না। স্থানীয় লোকজনও জানায়নি। একটা ভুল হয়েছে, তবে এতে ঠিকাদারের কোনো গাফিলতি নেই। লাইন মেরামতে তিতাসের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা