ছবি সংগৃহিত
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে দুই ব্যাংকে কেএনএফ’র হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২২ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও বান্দরবান কারাগার থেকে এই ২২ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এ নিয়ে ব্যাংক দুটিতে হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার ১৯৯ জনের মধ্যে ৯৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে, হাইকোর্ট ও বান্দরবানের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জামিনের আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালিয়ে টাকা ও পুলিশ-আনসার বাহিনীর অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় পৃথক ছয়টি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় বিভিন্ন সময়ে বম সম্প্রদায়ের ১৯৯ জন নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বছর গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তাদের পরিবার মানবিক সঙ্কটে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর কাছে আবেদনের পর তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া ভারতের মিজোরামসহ দুর্গম এলাকায় আত্মগোপনে থাকা বম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ যারা এলাকায় ফিরে এসেছেন, তাদেরও ঘরবাড়ি তৈরিতে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
এ ব্যাপারে বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজারলম বম বলেন, যারা হামলার ঘটনায় জড়িত নয়, তাদের জামিন দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে দাবি উঠেছে। এ অবস্থায় অধিকতর তদন্তের পর যারা জড়িত নয় তাদের পর্যায়ক্রমে জামিন দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বম সম্প্রদায়ের ১৯৯ জনের মধ্যে ৯৪ জন জামিন পেয়েছেন। শুধু জামিনই নয়, তাদের নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
এতে করে সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এছাড়া, যারা বাইরে আত্মগোপনে ছিলেন, তারাও এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে মিজোরাম ও বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬২ পরিবারের ৪১৩ জন নারী, পুরুষ ও শিশু এলাকায় ফিরে এসেছে। এক সময়ের অশান্ত এলাকা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ঘটনায় জড়িত নয়, তাদের জামিনের জন্য আদালতসহ সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, যারা মানবিক সঙ্কটে রয়েছে, তাদের নানাভাবে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আগামীতেও এটি অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা