ছবি সংগৃহীতঃ
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (৩০)। শনিবার দুপুরে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সাইফুলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এতে তার পরিবার ও সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সোমবার (২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
জানা যায়, সাইফুল ইসলামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের গোপাল বাড়িতে। তিনি সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগমের একমাত্র ছেলে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি জেলার বিভিন্ন থানায় প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। শনিবার দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে করিমবাজার ঘাটে ফেরার পথে ডুবচরের কাছে ট্রলারটির নিচের অংশ ফেটে যায়। এতে ট্রলারে পানি ঢুকে পড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ডুবে যায়। স্রোত ছিল অনেক বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, সাইফুল ইসলাম পানিতে ভেসে দূরে চলে গেছেন।
পুলিশ সদস্য সাইফুলের সহকর্মী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, সাইফুল খুব সৎ, দায়িত্ববান আর বন্ধুদের প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিল। তার নিখোঁজ হওয়ায় আমরা সবাই অনেক কষ্টে আছি। আমরা দোয়া করি, সে যেন সুস্থভাবে ফিরে আসে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, আমরা মালামাল নিয়ে সকালে ভাসানচর যাই। ফেরার পথে হঠাৎ একটা বিকট শব্দ হয়। এরপর ট্রলারে পানি ঢুকতে থাকে। কিছুক্ষণ পরেই ট্রলার উল্টে যায়। করিমবাজার ঘাট থেকে তিনটা ট্রলার গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে। গিয়াস উদ্দিন ও রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও সাইফুলসহ দুজন নিখোঁজ আছেন।
নিখোঁজ সাইফুলের বোন জান্নাতুল ফেরদাউস স্বপ্না বলেন, আমার ভাইকে না পেয়ে বাবা-মা বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। ঈদের ছুটিতে সাত দিনের জন্য বাড়ি আসার কথা ছিল তার। কুমিল্লায় বদলি হলেও এখনও বাড়ি আসেনি। এখনো কোনো খবর পাচ্ছি না।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা