চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার এসআই কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সোর্সের মাধ্যমে মাদক পাচারের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি বাজারে এ কাজে জড়িত তিন সোর্সকে ফেনসিডিলসহ আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৮ বোতল (১০০ এমএল) ফেনসিডিল ও পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে তাদের চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আটক তিনজন হলেন- উপজেলার আমিরাবাদ ৭নং ওয়ার্ডের সুখছড়ি পুরাতন বিওসি এলাকার রমিজ উদ্দিন (৩৫), লোহাগাড়া সদরের ৭নং ওয়ার্ডের হোসেন আলী মাতব্বর বাড়ির নাজিম উদ্দিন (৪৫) এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভবেরচর এলাকার তাজুল ইসলাম (৪৯)।
জানা যায়, আটক তিনজন ফেনসিডিল ভর্তি ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে তাদের ঘিরে রাখে। ফেসবুক লাইভে গিয়ে গাড়িটি তল্লাশি করা হয়। এ সময় ৪৮টি ফেনসিডিল বোতলসহ তিনজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতে থানায় সোপর্দ করা হয়।
আটক পুলিশের সোর্স রমিজ উদ্দিন বলেন, লোহাগাড়া থানায় কর্মরত এসআই কামাল হোসেন তাদের ফেনসিডিলগুলো দিয়েছেন। এসব ফেনসিডিল পাশের
পার্বত্য লামা উপজেলার আজিজ নগরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন এসআই কামাল। এ সংক্রান্ত ২ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে এসআই কামাল হোসেনকে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আলম খান বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে তাদের চট্টগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা