নেত্রকোণা সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে এক নবজাতক শিশুকে অবৈধ গর্ভপাত করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীর বিরোদ্বে।
জানাযায়, লক্ষীপুর গ্রামের দিন মজুর হারেছ মিয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সাথে একই গ্রামের স্বজল মিয়ার ছেলে তিন সন্তানের জনক জিয়াউর রহমানের অবৈধ সম্পর্ক ঘড়ে তুলে। গুপনে দির্ঘ দিন যাবৎ মেয়েটিকে ধর্যণ করে আসছিল। এক পর্যয়ে মেয়েটি অন্তসত্বা হয়ে পড়ে।
বিষয়টি গ্রাম ও পাড়ায় জানাজানি হলে ভোক্তভোগীকে নেত্রকোণায় কোন একাটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে আট মাসের নবজাতক ছেলে কে গর্ভপাত করিয়ে হত্যা করা হয়।। গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে ভিকটিম শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে ভিকটিম মারাত্নক স্ব্যাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন বলে জানান ভিকটিমের বাবা হারেছ মিয়া।
ঘটনা জানজানির পর থেকে অভযোক্ত জিয়াউর রহমান পলাতক রয়েছেন।
বর্তমানে এলাকা ও গ্রামের বেশ কয়েকজন পরিকল্পিত হত্যাকে ধামাচাপর চেষ্টায় মত্ত রয়েছেন।
লক্ষীপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ জানায়, বিষয়টি আমরা শুনেছি, সত্যতাও পাওয়া গেছে, কিন্তু মাতাব্বররা ভোক্তভেঅগীর পরিবারের সাথে কথা বলে মিমাংশা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তাই থানায় জানাইনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্চুক লক্ষীপুর গ্রামের বেশ কয়েককন জানান, আমরা গ্রামের সাধারণ মানুষ, আমাদেও কথার কি মূল্য আছে। গ্রামে এমন একটি নেক্কার জনক ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটবে আমরা আশা করিনি। তিন সন্তানের বাবা গরীব মেয়েটির সর্বনাশ করে শিশু বাচ্চাটিকে হত্যা করেছে তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। মেয়ের বাবা গরীব, অসহায় হওয়ায় ভয় ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার জন্য তদবির চালাচ্ছে একটি প্রভাবশাণী মহল। আমরা তার তিব্র নিন্দা জানাই। এই ধর্য়কের যদি কঠিন বিচার হইত তাহলে অন্যেরাও তা থেকে শিক্ষা নিত।
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি মাত্র শুনলাম। যদি কেউ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা