ছবি সংগৃহীতঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত আটজনের মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। নিহত আটজনের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন। তাদের মরদেহ বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে পৌঁছায়। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পরিবার, স্বজন ও স্থানীয়দের শোক আর কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। তাদের মরদেহ দেখতে আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহ ধর্মদহ গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হবে। পাশাপাশি কবর প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে কখন মরদেহ দাফন করা হবে তা জানা যায়নি। নিহতের পরিবার পর সিদ্ধান্ত নিয়ে সময় ঘোষণা করবেন।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), তার ভাই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫), তার ভাই মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), নিহত জাহিদুলের বোন প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাহাব হোসেন (৩৫), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুন (৩৫)।
তারা মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জে অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ট্রাকের ধাক্কায় তাদের সকলের মৃত্যু হয়। বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আইড়মারী এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা