মোঃ নুরুল হুদা
কাদাজল,মেঠোপথ,মফস্বলআধুনিক পৃথিবীর নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত সকল সীমবদ্ধতা অতিক্রম করে আমরা অজেয়,আমরা পারি এবং পারবো-
এমনি এক উজ্বল দৃষ্ঠান্তের ইতিহাস গড়লো, সাজিউরা মফিলা ফয়েজ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ৫৪ কৃতি শিক্ষার্থী।শতোভাগ পাসের হার নিশ্চিত করে পথ দেখালো আগামীর।পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, উন্নত শিক্ষার পরিবেশ মানসম্মত পাঠদান প্রতিকূল হয়ে উঠতে পারেনি সাজিউরা মফিলা ফয়েজ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের।স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা স্বপ্নবাজ।সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজেদের সর্বোচ্ছটা দিয়ে জান উজার করে। স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীরা মনোনিবেশ করে পাঠে এবং সংকল্পবদ্ধ হয় আমরা হবো আগামীর ইতিহাস।ছাত্র/ছাত্রীর ইতিহাস পরিবর্তন করায় এলাকাবাসী আনন্দিত। প্রতিবারই এ ইতিহাসের ধারা অব্যহত থাকুক এমনই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
মদনপুর, নেত্রকোনা 'এসএসসি ২০২৫ রিপোর্টার :এক গর্বিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মোট পাশের হার যেখানে ৫৮. ২২ %শতাংশ সেখানে এক টুকরো স্বপ্ন, একঝাঁক উজ্জল মুখ নিয়ে শতভাগ পাস করলো সাজিউরা মফিলা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়। ৫৪ জন পরীক্ষার্থী।
আর এই অর্জনের পেছনে আছে পরিশ্রম, সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং এক অনন্য নেতৃত্ব। এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে ছেলে ও মেয়ে-উভয়ই।এবারের ফলাফলে দেখা গেছে, তারা কেবল একজনের গল্প নয়, বরং এটি ৫৪টি পরিবারের গর্ব, একটি স্কুলের গৌরব, একটি সমাজের অর্জন। শ্রদ্ধা সেই মানুষটিকে যিনি শুধু শিক্ষক নন, ছিলেন আশ্রয়
আমাদের হেডমাস্টার স্যার আমাদের চোখে এক অভিভাবক।যিনি কখনো কঠোর হাতে, কখনো কোমল ভঙ্গিতে শিখিয়েছেন -
কিভাবে সময়কে কাজে লাগাতে হয়
কিভাবে নিজের সীমাবদ্ধতা ভেঙ্গে ফেলে এগিয়ে যেতে হয়
কিভাবে "আমি পারি না" থেকে "আমি পারবোই" হওয়া যায়
প্রতিদিন সকালে তার কন্ঠে উচ্চারিত হতো -
তোমরা এই স্কুল থেকে একদিন বাংলাদেশের গর্ব হবে।
আজ, সেই কথায় যেন সত্যি হলো।
এক শিক্ষার্থীর কণ্ঠে কৃতজ্ঞতা :
আমি এই স্কুলেরই ছাত্রী ছিলাম। আজকের এই সাফল্য দেখে চোখ ভিজে এসেছে। এত ছোট একটা গ্রাম, ছোট্ট একটা স্কুল অথচ, এত বড় ফলাফল! আমি স্যারকে শতবার সালাম জানাই। উনি আমাদের শুধু ছাত্র বানাননি, বানিয়েছেন মানুষ।
সাজিউড়া মফিলা ফয়েজ এখন শুধু একটা স্কুল না, এটা একটি অনুপ্রেরণার নাম
এই ফলাফল একটা অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছে। প্রমাণ করেছে, ভালো ফলাফলের জন্য বড় শহর, দামি কোচিং কিংবা প্রযুক্তির চমক নয় -দরকার অনুপ্রেরণা, পরিশ্রম, আর একজন স্বপ্ন দেখানো শিক্ষক।
ভবিষ্যতের পথে সাহসের দীপ্তি
এই ৫৪ জন এখন শুধু পরীক্ষায় পাশ করেনি- তারা ফিরে এসেছে এক বিশাল বাধা।সামনে অনেক পথ বাকি, কিন্তু আজকের এই ফলাফল, এই সফলতার গল্প তাদের জীবনের পাথেয় হয়ে থাকবে।
এই লেখা উৎসর্গ করা হলো আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক মো: শাফায়েত আহমেদ কে। যিনি একটি প্রজন্ম গড়ে তুলেছেন নিঃশব্দে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা