ছবি সংগৃহীতঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে গত বছরের আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর কন্যা, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দফা দাবিতে আয়োজিত ওই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলার ঘটনায় এই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
বুধবার (২৫ জুন) ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯নং আমলী আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী নাহিদুল ইসলাম আকন্দ বাদী হয়ে এই অভিযোগটি দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানায় পূর্বে কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ২ আগস্ট ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার সময় অভিযুক্তরা পিস্তল, শর্টগান, বোমা এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। অভিযোগে মোট ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর উপদেষ্টা ও কন্যা ওয়াহিদা হোসেন রূপা, সাবেক এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ জুয়েল, মন্ত্রীর সাবেক এপিএস আবু নাসের ভূইয়া মাসুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল আলম রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম তামান্না ও মনোয়ারা জুয়েল, সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম ভুইয়া রিপন, শফিকুল ইসলাম ভূইয়া এবং ১১ জন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক নেতাকর্মী।
বাদীপক্ষে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪৪৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৫৪ এবং ৫০৬(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে বেআইনি প্রবেশ, আঘাত, গুরুতর জখম, হত্যাচেষ্টা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। এরপূর্বে গত বুধবার (১৮ জুন) নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) নিরস্ত্র আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ৮৮ জনকে আসামি করে মামলা নং ১৭ করেন। যেখানে আওয়ামী লীগের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল অব. আব্দুস সালামের মেয়ে ওয়াহিদা হোসেন রূপাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, “আদালতের আদেশের একটি অনুলিপি আমরা পেয়েছি। নির্দেশনা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্ত করে নির্ধারিত সাত কার্যদিবসের মধ্যেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা