ছবি সংগৃহীতঃ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিটে সদস্য সংখ্যা ৪৩। তবে আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার বিকেলে দুই ইউনিটের ব্যানারে রাজশাহীতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে ২৭ জন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। জনবল-সংকটের প্রশ্নে দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, ‘শর্ট নোটিশে’ কর্মসূচি ঘোষণা করায় এমন সংকট ছিল।
আগের রাতে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ অন্যদের ওপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে আজ বিকেলে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিটের ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপনঃ
১৮ জুন তিন মাসের জন্য এনসিপির রাজশাহী জেলা ও মহানগরের সমন্বয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটিতে রাখা হয় ২৫ জনকে। আর মহানগরে সদস্যসংখ্যা ১৮। দুই ইউনিটে মোট সদস্যসংখ্যা ৪৩ হলেও আজ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী হিসেবে গুনে ২৭ জনকে পাওয়া যায়। সমাবেশে ছিলেন জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম। তবে ছিলেন না মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী। তিনি বর্তমানে চীনে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতা-কর্মীদের সংকট নিয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘এমন ভঙ্গুর অবস্থা নিয়ে আমিও জানতে চাইলাম। আমাকে বলল যে নিজেদের মধ্যে আলোচনা নিয়ে হয়তো কোনো পক্ষ-বিপক্ষ হয়েছে। এটা নিয়ে আমার সঙ্গে বসবে। আমি চাই যে সবার মধ্যে সবার সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।’ এদিকে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যের কথা জানা নেই দাবি করে এনসিপির রাজশাহী মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী বলেন, ‘আমি বাইরে আছি বিধায় যেতে পারিনি। এখন আমি যেতে পারিনি বলে কেউ যায়নি কি না। আমি ছবিতে সবাইকেই দেখছি।’ জনবল কম থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরে কর্মসূচি নিতে হবে, এটা আমরা সকালে জানতে পেরেছি। একটা নতুন সংগঠন। অর্গানাইজে একটু ল্যাকিংসের কারণে এটা হয়েছে। একটু সমন্বয়হীনতা হয়েছে। আগামী দিনে হয়তো হবে না।’
কর্মসূচিতে ২৭ জন অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন এনসিপির রাজশাহী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খুবই শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটা হয়েছে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে প্রোগ্রামটা করেছি। এ জন্য জনবল একটু কম ছিল। আমাদের আরও কিছু লোকজন আসার কথা ছিল, আসে নাই। বাগমারায় একটা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই জায়গায় কিন্তু আমাদের বড় একটা টিম আগেই চলে গিয়েছিল। এর মধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আমরা যে কয়জন আছি প্রোগ্রামটা করব।’
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা