বিশেষ প্রতিনিধি : মোঃ নুরুল হুদা
নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের
নরেন্দ্রনগর, আসদাটি, কামালগাতি, সুলতানপুর ও কাশিমপুর
গ্রামের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্দশা। সাইঢুলি নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ইতোমধ্যে গ্রাম গুলোর বহু বাড়িঘর ও ফসলি জমি গ্রামের মূল যোগাযোগ পথ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
অথচ এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর ধরে সাইঢুলি নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভাঙন। নদীর পাড় ভেঙে একের পর এক বসতবাড়ি ও কৃষিজমি গিলে খাচ্ছে এই নদী।
নরেন্দ্রনগর, আসদাটি, কামালগাতি, সুলতানপুর ও কাশিমপুর—
গ্রামের একাধিক পরিবার ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে । তাদের অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অথবা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা জানান, তারা বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। নদী ভাঙন রোধে পাড়ে বাঁধ বা কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বলেন, "প্রতিদিন আমাদের চোখের সামনে জন যোগাযোগ রাস্তা সহ ঘরবাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে , অথচ কোনো সরকারি সহায়তা আমরা এখনো পাইনি।"
এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে
নরেন্দ্রনগর, আসদাটি, কামালগাতি, সুলতানপুর ও কাশিমপুর—
নদীর কূল গেছে যে রাস্তা গিয়েছে তা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এখনই যদি নদী শাসন প্রকল্প গ্রহণ না করা হয়, তবে শুধু এই গ্রাম নয়, আশপাশের এলাকাও একই বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় পরিবেশবিদরা।
নরেন্দ্রনগর, আসদাটি, কামালগাতি, সুলতানপুর ও কাশিমপুর
বাসিন্দারা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য একটি টেকসই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হোক।
প্রকৃতি যতই প্রতিকূল হোক না কেন, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কার্যকর প্রশাসনিক পদক্ষেপই পারে একটি গ্রামের অস্তিত্ব রক্ষা করতে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন এই সংকট নিরসনে কতটা দ্রুত এগিয়ে আসে।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা