প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ৬:৪১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২২, ২০২৫, ২:৩৫ পি.এম
ঝিনাইদহে জুলাই যোদ্ধা সংসদের সংবাদ সম্মেলন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত বিপ্লবী সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে সারা দেশে আবারও গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছে জুলাই যোদ্ধা সংসদ। রোববার (২২ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই যোদ্ধা সংসদ ঝিনাইদহ জেলা শাখা এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য সচিব রত্না খাতুন। এতে তিনি বলেন, “বিপ্লবী সরকারের ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের জন্য যে ৩০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে এখন মাত্র তিন দিন বাকি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যায়নি। এই ধীরগতিকে আমরা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হিসেবে দেখি।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে তা আদায় করা হবে।” সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক আনিচুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হুমায়ুন কবির, এবং জুলাই যোদ্ধা রাহাত মিয়া, মাসুম বিল্লাহ, সাইফুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম আর প্রাণদানের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা। কিন্তু সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন তা উপেক্ষা করছে। সাইদুর রহমান বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার যে প্রত্যাশা ছিল, তা এখনও পূরণ হয়নি। আমরা চাই গণহত্যার বিচার হোক, নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার হোক, এবং অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা হোক। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসব দাবি উপেক্ষা করা হলে আমাদের নতুন করে রাজপথে নামা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।” সংবাদ সম্মেলনে এক আবেগঘন বক্তব্যে জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক হুমায়ুন কবির বলেন, “জুলাই বিপ্লবে দুই হাজার তরুণ প্রাণ আত্মোৎসর্গ করেছে। আমরা সেই ত্যাগকে ভুলে যেতে পারি না। কেউ যদি মনে করে, আমরা নির্বাচনের নামে প্রহসন মেনে নেব, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, গণহত্যার বিচার ও নির্বাচন ব্যবস্থায় দৃশ্যমান সংস্কার ছাড়া এই দেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।” সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে নেতারা সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তারা আবারও রাজপথে নামতে প্রস্তুত।
বকশীগঞ্জে এনসিপিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি জামালপুরেরর বকশীগঞ্জে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে (এনসিপি) আওয়ামী লীগের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন) দুপুরে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবী ছাত্র জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন ফাজিল মাদরাসা মাঠ থেকে শুরু করে শহর প্রদক্ষিণ করে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় সংক্ষপ্তি বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ গণ অধিকার পরিষদের আহবায়ক শাহরিয়ার আহমেদ সুমন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সা’দ আহমেদ রাজু, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়জিদ আলামিন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আহমেদ সায়েম, ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি কাজল খন্দকার। বক্তারা সদ্য ঘোষিত বকশীগঞ্জ উপজেলা এনসিপির কমিটিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের দায়ে কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানান এবং ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন অধ্যাপক মোসাদ্দেকুর রহমান মানিককে প্রধান সমন্বয়কারী ও এমদাদুল হক মিলনকে যুগ্ন সমন্বয়কারী, যুগ্ন সমন্বয়কারী তৌহিদুজ্জামান তৌহিদকে যুগ্ন সমন্বয়কারী করে উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে যুগ্ন সমন্বয়কারী তৌহিদুজ্জামান তৌহিদকে আওয়ামী লীগের দোসর দাবি করে আসছে জলাই বিপ্লবের ছাত্র প্রতিনিধিরা। ছাত্র প্রতিনিধিদের দাবি কৌশলে এনসিপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু বকশীগঞ্জ, জামালপুর
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা