পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের পাবনা পাড়া গ্রামের ফাতেমা আক্তার কলির ভোটার এলাকার পরিবর্তন করতে শনাক্তকারী হিসেবে ইউপি সদস্যের এনআইডি নম্বর, স্বাক্ষর ও সিল প্রয়োজন। এজন্য এসেছেন ইউনিয়ন পরিষদে। কিন্তু ইউপি সদস্য দাহির উদ্দিন কারাগারে থাকায় সেবা না পেয়ে তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে। মানিকের মতো অনেকেই সেবা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এতে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই সব ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। অফিস করছেন সচিব ও উদ্যোক্তারা।চেয়ারম্যান-মেম্বার না থাকায় তাদের কার্যালয়ের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেবাপ্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, গত ৮ মে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন রাজনীতিক মামলায় আটক হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছে। এদিকে, গত ২৬ মে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কার্ডের চাল বিতরণে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগে ঝলইশালশিড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে তাদেরকে আদালতে তোলা হলে ১১ জন ইউপি সদস্যের মধ্যে ৩ জন নারী সদস্যকে জামিন দেন আদালত। একজন ইউপি সদস্য পলাতক আছেন।
এ ঘটনার পর পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবেত আলী স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৩, ১০১ ও ১০২ ধারা অনুযায়ী বোদা উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হান মুজিবকে ঝলই শালশিরী ইউনিয়নের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা