এ সময় হঠাৎ করে আরিফুল হক চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে রেজাউল লোদীর দিকে অগ্রসর হয়ে বলেন, আমি একটা প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছি, আপনি কেন ভিন্ন প্রসঙ্গে যাচ্ছেন? এর পরপরই দুজনের মধ্যে সরাসরি বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, যা কয়েক মিনিট পর্যন্ত চলে।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর বিএনপির এক শীর্ষস্থানীয় নেতা ঢাকা পোস্টকে জানান, সিলেট বিএনপিতে দীর্ঘদিন ধরে দুটি বলয় সক্রিয়। একটি আরিফুল হক চৌধুরী এবং অন্যটি খন্দকার মুক্তাদির বলয়। এই বলয়ভিত্তিক রাজনীতি ইতোমধ্যেই দলকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করেছে। তিনি বলেন, আজকের ঘটনাটি সেই দ্বন্দ্বের প্রকাশ্য বহিঃপ্রকাশ। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ ছাড়া সিলেট বিএনপির ঐক্য নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। সভায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, শাবিপ্রবির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সাজেদুল করিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শামীমুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।