অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে বিক্ষোভে উত্তাল চতুর্থ দিন পার করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটিতে চলমান এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে । প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর দমননীতির আগুনে আরও ঘি ঢালছে; বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোর মতো অঙ্গরাজ্যগুলোতে। দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড দিয়ে পরিস্থিতি সামালাতে ব্যর্থ হয়ে এবার বিক্ষোভ দমনে লস অ্যাঞ্জেলসে আরও দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
৯ জুন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের এলাকায়জুরে ফেডারেল কর্মী ও ফেডারেল সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে যেসব বাহিনী কাজ করছে মেরিন সেনারা তাদের সঙ্গে কাজ করবে। ওই এলাকায় নজরদারি অব্যাহত রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী সরবরাহের জন্য তাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, টাস্ক ফোর্স ৫১–এর মধ্যে ২ হাজার ১০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এবং ৭০০ মেরিন সেনা রয়েছেন। তারা উত্তেজনা প্রশমন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং বলপ্রয়োগের নিয়ম সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
এদিকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে প্রতিবারের মতোই নিন্দা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। লস অ্যাঞ্জেলেসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ন্যাশনাল গার্ড ও মেরিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
গ্যাভিন নিউসম আরও বলেন, ‘মেরিন সেনারা আমাদের বীর। একজন একনায়কোচিত প্রেসিডেন্টের উন্মাদ বাস্তবতা বর্জিত ইচ্ছা পূরণের জন্য নিজের দেশের মাটিতে তাদের দেশবাসীর মুখোমুখি দাঁড় করানো উচিত নয়। এটা আমেরিকান আদর্শের পরিপন্থী।
সম্পাদক ও প্রকাশক:- গজনবী বিপ্লব
নেত্রকোণা অফিস:- গজনবী ভিলা, সাতবেরিকান্দা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা